আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
বর্তমান সময়ে জ্বর, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা বা শরীরে দুর্বলতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়। এই উপসর্গগুলোর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভাইরাল জ্বর, যা ভাইরাসজনিত কারণে হয় এবং সহজেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও এটি কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায়, তবে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সঠিক চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দিনাজপুরের রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পুষ্টিবিদ লিনা আকতারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক ভাইরাল জ্বরের সময় কী খাবেন এবং কী খাবেন না।
ভাইরাল জ্বরের সময় খাবার হতে হবে সহজপাচ্য, পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং শরীরের জন্য উপযোগী।
-
তরল খাবার ও পর্যাপ্ত পানি: গরম পানি, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ইলেকট্রোলাইট (ওআরএস), চিকেন বা সবজির স্যুপ পান করলে ডিহাইড্রেশন রোধ হয় এবং শরীরে শক্তি ফিরে আসে।
-
সহজপাচ্য ও হালকা খাবার: সেদ্ধ ভাত ও ডাল (খিচুড়ি), সেদ্ধ আলু, হালকা ভেজানো নরম রুটি ও সেদ্ধ সবজি হজমে সহায়ক এবং ক্লান্ত শরীরের জন্য উপযুক্ত।
-
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: ডিম (সেদ্ধ বা হালকা পোচ), চিকেন স্যুপ, পনির এবং টক দই শরীরকে দ্রুত মেরামতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
-
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফল: কমলা, মাল্টা, লেবু, পাকা পেঁপে, আমলকী, কলা এবং বেদানা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে।
-
টক দই ও প্রোবায়োটিক খাবার: এগুলো হজমশক্তি বাড়াতে এবং পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কিছু খাবার এই সময়ে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
-
ভাজা-পোড়া ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার: পরোটা, পেঁয়াজু, চপ এবং ফাস্টফুডের মতো খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে।
-
ঠান্ডা খাবার ও পানীয়: আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি কাশি ও গলা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
-
ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার: বিরিয়ানি, ঝাল ভুনা ও আচারের মতো খাবার পাকস্থলীর সমস্যা ও অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
-
চা-কফি ও ক্যাফেইনজাতীয় পানীয়: অতিরিক্ত পরিমাণে এসব পান করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।
-
গলা ব্যথা কমাতে লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করতে পারেন।
-
আদা, লেবু বা তুলসী পাতার হালকা চা খেতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম। মনে রাখবেন, ভাইরাল জ্বর হলে শুধু ওষুধ নয়, সঠিক পুষ্টি ও বিশ্রামও সমান গুরুত্বপূর্ণ।