আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১০:০৭ এএম
আজকের দ্রুতগতির জীবনে সকালের নাস্তা অনেকের কাছেই একটি তাড়াহুড়ার বিষয়। সময় বাঁচাতে অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দেন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করেন। তবে আপনি জানেন কি, আগের রাতের বাসি রুটি আর সামান্য ঘি দিয়েই তৈরি করা যায় এক স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর সকালের নাস্তা? পুষ্টিবিদদের মতে, এই দুটি সাধারণ উপাদান একসঙ্গে খেলে স্বাস্থ্য-এর অনেক উপকার হয়।
বাসি রুটির উপকারিতা: বাসি রুটি মানেই অখাদ্য, এমন একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। কিন্তু ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হলে বাসি রুটি সহজে হজম হয় এবং পেটের জন্য উপকারী। এতে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় এটি হালকা হয়ে যায়, যা অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া, তেল-মসলা ছাড়া খাওয়া হলে এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও ভালো বিকল্প হতে পারে।
ঘির স্বাস্থ্যগুণ: ঘি শুধু স্বাদের জন্য নয়, এর অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ঘি খেলে ওজন বাড়ে, কিন্তু এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়াও, ঘি খেলে ত্বক ও চুল পুষ্ট হয়। ঘিতে থাকা উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
কীভাবে বানাবেন এই নাস্তা? এই সহজ এবং পুষ্টিকর নাস্তাটি তৈরি করতে:
-
আগের রাতের শুকনো রুটি ছোট ছোট টুকরা করে নিন।
-
হালকা গরম দুধ বা জল দিয়ে রুটিগুলোকে সামান্য নরম করুন (যদি চান)।
-
এর ওপর এক চা চামচ বিশুদ্ধ দেশি ঘি ছড়িয়ে দিন।
-
স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য গুড় বা মধু যোগ করতে পারেন।
সতর্কতা: বাসি রুটি অবশ্যই সঠিকভাবে সংরক্ষিত হতে হবে। ফ্রিজে রাখা রুটি গরম করে খাওয়া উচিত। ঘি দিনে এক থেকে দুই চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই খাবার খাওয়া উচিত।
ব্যস্ত জীবনে একটি সহজ, পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাসি রুটি ও ঘির এই মিশ্রণটি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও সরবরাহ করে।