আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
আয়কর রিটার্ন অডিটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার (১৭ আগস্ট) সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনবিআর আশা করছে, নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হলে রাজস্ব আয় বাড়বে এবং করদাতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। এটি জাতীয় অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
'আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা, ২০২৫' শিরোনামে জারি করা এই গাইডলাইনে অডিটের প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন 'আয়কর আইন, ২০২৩' এর ১৮০ ও ১৮২ ধারার আলোকে অডিটের জন্য রিটার্ন বাছাই করা হবে ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতিতে। এজন্য একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ব্যবহার করা হবে, যাতে মানবীয় হস্তক্ষেপ কম থাকে।
রিটার্ন বাছাইয়ের নিয়ম
-
অডিটের জন্য রিটার্ন বাছাই হবে ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতিতে।
-
কাগজের রিটার্নের ক্ষেত্রে আপাতত র্যান্ডম বাছাই চালু থাকবে।
-
কোম্পানি ও অন্যান্য করদাতার রিটার্ন বোর্ডের অনুমোদনের ভিত্তিতে আলাদাভাবে নির্বাচন করা হবে।
-
নতুন করদাতার প্রথম রিটার্ন অডিটে আনা হবে না, যদি না তাতে সুস্পষ্ট রাজস্ব ক্ষতি দেখা যায়।
-
একই করদাতাকে টানা তিন বছর অডিটে না আনার বিধান রাখা হয়েছে।
রিটার্ন নির্বাচনের পর করদাতাকে ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দেওয়া হবে। করদাতা সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারলে অডিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় কর পরিদর্শক প্রমাণ সংগ্রহ করবেন এবং আইন অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হবে।
ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে আয়, সম্পদ ও ব্যয়ের মধ্যে সংগতি আছে কিনা, তা বিশেষভাবে দেখা হবে। বেতন, ব্যাংক হিসাব, কৃষি আয়, রেমিট্যান্স এবং জীবনযাত্রার ব্যয় খুঁটিনাটি যাচাই করা হবে।
কোম্পানির ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত হিসাব জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টার্নওভার, ব্যাংক জমা, অপ্রাসঙ্গিক খরচ এবং উৎসে কর যথাযথভাবে কাটা হয়েছে কিনা, তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। এছাড়া নতুন ঋণ বা দেনা এবং আয়কর আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা, তাও অডিটের আওতায় আসবে।