রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, বিদেশে সব দূতাবাসে তৎপরতা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১০:৩২ এএম

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, বিদেশে সব দূতাবাসে তৎপরতা

ছবি- সংগৃহীত

বিদেশের সব দূতাবাস, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি, বরং টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই কূটনীতিকদের অন্য মিশনগুলোতে খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

মিশনগুলোর কূটনৈতিক সূত্র থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, "ঢাকা থেকে ফোনে আমাদের জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি সরাতে হবে। এটি লিখিতভাবে আসেনি, তবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্য মিশনগুলোতেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার। একই সঙ্গে তদারকির দায়িত্বও থাকবে।"

আরেকজন কূটনীতিক জানান, তাদের অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন, তবে কাছাকাছি আরেকটি মিশনের মাধ্যমে বার্তাটি তাদের কাছে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা গেছে যে, এখনো অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের নির্দেশ পাননি। তবে অন্তত দুটি মিশনের প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে তারা সরকারের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়েছেন এবং তারা অন্যান্য মিশনকে অবহিত করার পাশাপাশি ছবি সরানোর বিষয়টি তদারকি করবেন।

এই নির্দেশনার কারণ সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে এটি একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক পদক্ষেপ, কারণ রাষ্ট্রপতির ছবি সম্মান ও প্রটোকলের অংশ হিসেবে সরকারি কার্যালয়গুলোতে প্রদর্শিত হয়। এই ঘটনা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর এই নির্দেশ সরকারের মধ্যে কোনো বিশেষ প্রটোকল বা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় কি না, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা-কল্পনা চলছে। বিশেষ করে লিখিত কোনো নির্দেশনা না দিয়ে মৌখিকভাবে এই বার্তা দেওয়ায় এর পেছনের কারণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুমান করা হচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে একটি প্রথাগত প্রটোকল পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এর মধ্যে অন্য কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক তাৎপর্য খুঁজে ফিরছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না আসায় বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।