রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

চোখ দেখে হার্ট অ্যাটাকের ৪ লক্ষণ চেনার উপায়

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

চোখ দেখে হার্ট অ্যাটাকের ৪ লক্ষণ চেনার উপায়

ছবি- সংগৃহীত

জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগ এখন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, হৃদরোগের ঝুঁকি আমাদের শরীরের কিছু বাহ্যিক লক্ষণ, বিশেষ করে চোখে, প্রকাশিত হতে পারে। এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে আমরা সময়মতো ব্যবস্থা নিতে পারি এবং বড় ধরনের বিপদ এড়াতে পারি। নিচে এমন চারটি লক্ষণ তুলে ধরা হলো:

১. চোখের পাতার চারপাশে হলুদ বা সাদা দাগ (জ্যানথেলাসমা) চোখের পাতার চারপাশে ছোট ছোট চর্বি জমার মতো হলুদ বা সাদা দাগ দেখা গেলে তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জ্যানথেলাসমা বলা হয়। এই লক্ষণটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, যা হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। যদি আপনি এই লক্ষণটি দেখতে পান, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান।

২. চোখের মণির চারপাশে ধূসর বা সাদা বৃত্ত (আর্কাস সিনিলিস) চোখের মণির চারপাশে ধূসর বা সাদা রঙের একটি বৃত্ত বা বলয় তৈরি হওয়াও হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। এটিকে আর্কাস সিনিলিস বলা হয়, যা উচ্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তনালীতে চর্বি জমার কারণে হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে এই লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। এই বৃত্তটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়।

৩. ঘন ঘন দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা চোখে ঝিনঝিন অনুভূতি যদি আপনার দৃষ্টি ঘন ঘন ঝাপসা হয়ে যায় বা চোখে ঝিনঝিন অনুভূতি হয়, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালনে কোনো বাধা থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয়, কারণ রক্ত সঠিকভাবে চোখে পৌঁছাতে পারে না। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না বা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন, তাদের মধ্যে এই লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। এই লক্ষণটি বারবার দেখা দিলে এটিকে হালকাভাবে নেবেন না।

৪. চোখ ঘন ঘন ফোলা বা লালচে ভাব চোখ ঘন ঘন ফোলা বা লালচে হওয়া হৃদরোগের একটি বড় লক্ষণ। যখন হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না, তখন শরীরে তরল জমে যায়, যার ফলে এই ফোলাভাব দেখা দেয়। চোখের নিচে ফোলা এবং লালচে ভাব সাধারণত বেশি দেখা যায় এবং এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি বা হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা হ্রাসের ইঙ্গিত দিতে পারে। এই লক্ষণটি যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।