আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:২৯ এএম
কলা এমন একটি ফল যা প্রায় সবার কাছেই সহজলভ্য এবং এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে আছে পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। একটি মাঝারি আকারের কলা শরীরকে প্রায় ১০০ ক্যালরি শক্তি এবং শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। তবে সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া ঠিক কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে।
অনেকের ধারণা, কলা খেলে সর্দি বাড়ে এবং শরীর ঠান্ডা করে। এটি মিউকাস বা শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে রাতে কলা খাওয়াকে ক্ষতিকর মনে করা হয়, কারণ এতে সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো, কলা হাই হিস্টামিন জাতীয় খাবার। হিস্টামিন এমন একটি উপাদান যা শরীরে কফ বা শ্লেষ্মা উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি হলেই কলা খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ নয়। যদি আপনার সর্দি বা কাশি খুব বেশি তীব্র না হয় এবং সাধারণ ভাইরাল জ্বর বা ঠান্ডা লেগে থাকে, তবে মাঝেমধ্যে পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।
-
সীমিত পরিমাণে: প্রতিদিন একটি করে, সপ্তাহে ৩-৪ দিন কলা খাওয়া নিরাপদ।
-
সকাল বা দুপুরে: রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। সকাল বা দুপুরের দিকে এটি খেলে হজমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
-
দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা: যদি আপনি দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জিতে ভুগে থাকেন, তাহলে কলার মতো হিস্টামিন-সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষের শরীর আলাদা এবং যেকোনো খাবার গ্রহণের আগে নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সামান্য ঠান্ডা লাগলে কলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হলেও, দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।