মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

গুগল পিনপয়েন্ট দিয়ে করতে পারেন ৫টি অসাধারণ কাজ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৯:৫০ এএম

গুগল পিনপয়েন্ট দিয়ে করতে পারেন ৫টি অসাধারণ কাজ

ছবি- সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিশাল পরিমাণ ডেটা ও ডকুমেন্ট থেকে দরকারি তথ্য খুঁজে বের করা এক চ্যালেঞ্জ। সাংবাদিক, গবেষক ও পেশাদারদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুগল জার্নালিস্ট স্টুডিও নিয়ে এসেছে একটি শক্তিশালী এআই টুল, যার নাম গুগল পিনপয়েন্ট। এটি ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ডেটা বিশ্লেষণকে অনেক সহজ করে দিয়েছে

গুগল পিনপয়েন্ট হলো একটি বিশেষ টুল, যা ব্যবহারকারীদের ডকুমেন্ট কালেকশন আপলোড করতে, বিশ্লেষণ করতে এবং সহজে শেয়ার করতে সাহায্য করে। এটি মূলত সাংবাদিকদের জন্য তৈরি হলেও, ডেটা নিয়ে কাজ করেন এমন যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারেন।

১. বিশাল ডকুমেন্ট আপলোড ও সার্চ: ইমেইল, আইনি কাগজপত্র, রিসার্চ রিপোর্ট— এসবের ভিড়ে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করা কঠিন। পিনপয়েন্টের সাহায্যে আপনি সহজে এই ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীকে Boolean operators (AND, OR, NOT), Proximity search, এবং বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে তথ্য খুঁজে বের করার সুবিধা দেয়।

২. ছবি ও হাতের লেখা থেকে টেক্সট এক্সট্রাক্ট: স্ক্যান করা ডকুমেন্ট বা হাতে লেখা নোট নতুন করে টাইপ করার প্রয়োজন নেই। পিনপয়েন্টের OCR (Optical Character Recognition) প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি বা হাতের লেখার টেক্সটকে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে দেয়।

৩. অডিও ও ভিডিও ফাইল ট্রান্সক্রাইব: পিনপয়েন্ট সরাসরি অডিও বা ভিডিও ফাইল থেকে টেক্সট তৈরি করে। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেকর্ডিং শুনতে হয় না। আপনি সরাসরি ট্রান্সক্রিপ্ট সার্চ করে কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে নিতে পারেন। তবে এটি একবারে শুধু একটি ভাষায় ট্রান্সক্রাইব করতে পারে।

৪. স্ট্রাকচারড ডেটা এক্সট্রাক্ট: যদি আপনার কাছে অনেকগুলো আর্থিক রিপোর্ট থাকে যেখানে কোম্পানির নাম, আয়ের পরিমাণ ও শেয়ার প্রাইস এলোমেলোভাবে লেখা আছে, পিনপয়েন্ট সেগুলো চিহ্নিত করে একটি টেবিল আকারে সাজিয়ে দিতে পারে। এটি ডেটা দ্রুত ও সহজে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।

৫. টিমওয়ার্ক ও সহযোগিতা: পিনপয়েন্ট শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়, এটি টিমওয়ার্কের জন্যও দুর্দান্ত। আপনি আপনার সংগৃহীত ডকুমেন্টগুলো সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদের ভিউ, কমেন্ট বা এডিট করার অনুমতি দিতে পারেন, যা দলগত প্রজেক্টকে আরও নিরাপদ ও গোছালো করে তোলে।

এই টুলটি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ডেটার ভেতর লুকিয়ে থাকা প্যাটার্নগুলোও খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। গবেষক, সাংবাদিক বা কর্পোরেট পেশাজীবী— সবাই এই এআই টুলের মাধ্যমে ডেটা বিশ্লেষণে আরও দক্ষ হতে পারেন।