আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ ‘গৌরমতি’ আম চাষে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম প্রকল্পের আওতায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে বিষমুক্ত আম উৎপাদন করে তিনি এখন এলাকার অনুকরণীয় কৃষকে পরিণত হয়েছেন।
গোলাম মোস্তফা ২০১৭ সালে তার গৌরমতি আমের বাগান শুরু করেন। ২০২২ সাল থেকে বাগানে ব্যাপক ফলন আসছে। এ বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে এবং তিনি ভালো দামও পাচ্ছেন। এক একর জমির বাগানে এবার তিনি ২৯ হাজার ৫০০টি আম ব্যাগিং করেছেন। আম উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা থেকে বিক্রয় শেষে প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় হবে বলে তিনি আশা করছেন।
বাগান থেকেই প্রতি মণ আম ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সরাসরি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। আমের আকার বড় ও চমৎকার স্বাদের কারণে ক্রেতাদের আগ্রহও বেশি।
গোলাম মোস্তফা বলেন, "কৃষি অফিসের নিয়মিত পরামর্শ ও আধুনিক পরিচর্যার কারণে আমার বাগানের সব আম রপ্তানিযোগ্য মানের হয়েছে। আমের ভারে অনেক ডাল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ করায় কীটনাশকের প্রয়োজন হয়নি।" তিনি আরও জানান, অনেক বেকার যুবক নিজের জমি বা লিজ নেওয়া জমিতে এই আমের বাগান করে লাভবান হতে পারেন, যা বেকারত্ব কমাতেও সাহায্য করবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদন করলে ফলন ভালো হয়, আমের চেহারা আকর্ষণীয় থাকে এবং বিষমুক্ত হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হয়। গোলাম মোস্তফার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক এখন গৌরমতিসহ অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।