সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে: হুঁশিয়ারি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে: হুঁশিয়ারি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর

ছবি- সংগৃহীত

বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্বকে এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতাদের উদ্বেগ প্রকাশ করা স্বাভাবিক। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান সম্প্রতি যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তা এই আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতাকে আবারও সামনে এনেছে। তার এই মন্তব্য বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে চলমান উত্তেজনার কারণে একটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাবনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, যা শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। শনিবার (২৬ জুলাই) রোমানিয়ার বাইল তুসনাদ শহরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। রুশ বার্তা সংস্থা তাস এই খবর জানিয়েছে।

 

অরবান বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক সংকট একসঙ্গে গভীর হচ্ছে। তিনি বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে— বিশ্বজুড়ে সংঘাতের সংখ্যা বৃদ্ধি, অস্ত্র প্রতিযোগিতার তীব্রতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য বাধার প্রসার এবং সামরিক জোটগুলোর বিভাজন। তার মতে, এসবই বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে।

ন্যাটো-রাশিয়া সংঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, “সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষ সরাসরি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটাতে পারে।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কেউ এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংঘাত নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “উভয় পক্ষই দ্রুত বৈঠকে বসতে এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই সকালে কম্বোডিয়ার ওড্ডার মিনচি প্রদেশের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল।