রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

কসাইখানা থেকে ১০০০ কেজি গাধার মাংস জব্দ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম

কসাইখানা থেকে ১০০০ কেজি গাধার মাংস জব্দ

ছবি- সংগৃহীত

খাদ্য নিরাপত্তা এবং অবৈধ বাণিজ্য বিশ্বের অনেক দেশেই একটি বড় সমস্যা। পাকিস্তানে সম্প্রতি একটি গোপন কসাইখানায় অভিযান চালিয়ে গাধার মাংস জব্দের ঘটনাটি খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাণী অধিকার এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি অন্ধকার দিককে সামনে এনেছে। বিশেষ করে চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরির জন্য গাধার মাংস ও চামড়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবেও উদ্বেগের কারণ।

পাকিস্তানে একটি গোপন কসাইখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০টি জীবিত গাধা এবং ১০০০ কেজি গাধার মাংস জব্দ করেছে দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে তারনোল এলাকায় এই অভিযান চালায় ইসলামাবাদ ফুড অথরিটি (আইএফএ)। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ রোববার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

আইএফএ’র মুখপাত্র জানান, গোপন এই কসাইখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে প্যাকেটজাত মাংস এবং জীবিত গাধা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই মাংস বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হচ্ছিল। আইএফএ পরিচালক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন এবং জব্দকৃত মাংস ধ্বংস করা হচ্ছে।

অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে এক বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন এই মাংস আরও কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে দেশটিতে গাধার সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৯ হাজার। এর অন্যতম কারণ হলো চীনের উচ্চ চাহিদা। চীনে গাধার মাংস বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয় এবং গাধার চামড়া দিয়ে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ‘ই-জিয়াও’ তৈরি হয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রাণী কল্যাণ সংস্থা ‘দ্য ডাংকি স্যাংচুয়ারি’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জানায়, ই-জিয়াও শিল্পে বছরে গড়ে প্রায় ৫৯ লাখ গাধার চামড়া প্রয়োজন হয়, যা বিশ্বের গাধা জনগোষ্ঠীর ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।

পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রপ্তানি প্রক্রিয়ার নানা জটিলতা কেটে যাওয়ায় এখন গাধার চামড়া ও মাংসের রপ্তানি প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়েছে।