জুলাই ২৭, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম। দেশটির বিচার বিভাগ প্রায়ই এমন অপরাধের জন্য কঠোরতম শাস্তির বিধান করে থাকে। মুজাহিদিন-ই খালক (এমকেও) নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ইরানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিভিন্ন সময় ইরানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, যার ফলে বহু বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। সম্প্রতি এই গোষ্ঠীর দুই সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা দেশটির নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার কঠোরতাকে তুলে ধরে।
সন্ত্রাসী সংগঠন মুজাহিদিন-ই খালক (এমকেও)-এর দুই সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরানের বিচার বিভাগ। রোববার (২৭ জুলাই) দেশটির সংবাদ সংস্থা তাসনিম এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এই দুই সদস্য হাতে তৈরি মর্টার শেল দিয়ে আবাসিক, প্রশিক্ষণ এবং পরিষেবা কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানোর জন্য মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। ওই দুই সদস্য হলেন মাহদি হাসানী এবং বেহরুজ এহসানি, যারা ফারদিন ও বেহজাদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তারা এমকেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, তারা দুজন এমকেও’র মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তেহরানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাদের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আবাসিক এলাকা, প্রশাসনিক কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দাতব্য সংস্থাগুলোতে হামলা চালিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এমকেও সদস্যরা বহু বছর ইরাকে কাটিয়েছিলেন, যেখানে সাবেক ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেন তাদের আশ্রয় এবং অস্ত্র দিয়েছিলেন। ১৯৮০-৮৮ সালে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় তারা সাদ্দামের পক্ষে ছিলেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে এমকেও’র হাতে ১৭ হাজারের বেশি ইরানি, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, নিহত হয়েছেন।
এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মাধ্যমে ইরান সরকার আবারও প্রমাণ করল যে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা কোনো ধরনের ছাড় দেবে না।
আপনার মতামত লিখুন: