জুলাই ২৭, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং মন্দিরে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হয়। কিন্তু অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তার অভাবে প্রায়শই এই জনসমাগম মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পদদলন এমন একটি দুর্ঘটনা, যা ভারতের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে প্রায়ই ঘটে থাকে। উত্তরাখণ্ডের মনসা দেবী মন্দিরের সাম্প্রতিক ঘটনাটি আবারও এই ঝুঁকির দিকটি তুলে ধরল।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের একটি জনপ্রিয় হিন্দু মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত এবং আরও ৫৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরে যাওয়ার সিঁড়িতে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, মন্দিরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার একটি গুজব ছড়িয়ে পড়লে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। এর ফলে লোকজন হুড়োহুড়ি করে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজ্যের গাড়ওয়াল বিভাগের পুলিশ কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে বলেন, দুর্ঘটনার সময় মনসা দেবী মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং দুর্ঘটনাস্থলে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, “মন্দিরের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।”
ভারতে ধর্মীয় উৎসবের সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ও পদদলনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এর আগে, গত জুনে ওড়িশা রাজ্যে এক উৎসবে পদদলনে তিনজন নিহত হয়েছিলেন। মে মাসে গোয়ায় একটি অগ্নিপদযাত্রায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুম্ভ মেলার সময় পদদলনে অন্তত ৩০ জন নিহত হন।
আপনার মতামত লিখুন: