জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে। তবে প্রায়শই ইসরাইলি বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হতে হয় এসব ত্রাণবাহী জাহাজকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার গাজাগামী আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করেছে ইসরাইল, যা আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি আবারো একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী ত্রাণবাহী জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা এই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনারই প্রতিফলন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে অগ্রসর হওয়া একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী ত্রাণবাহী জাহাজ ছিনতাই করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। ‘হান্ডালা’ নামের এই জাহাজটি ইতালি থেকে ফিলিস্তিনি উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। শনিবার (২৬ জুলাই) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হান্ডালা’ নামের জাহাজটিতে সংসদ সদস্য, চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ২১ জন নিরস্ত্র কর্মী ছিলেন। জাহাজে থাকা প্রেস টিভির এক সংবাদ অনুসারে, ইসরাইলি নৌবাহিনীর জাহাজ কাছে আসার আগে ক্রুরা জাহাজের ওপরে একটি ড্রোন দেখতে পায়। এই পরিস্থিতিতে তারা একটি ‘ডিসট্রেস কল’ জারি করে।
হুওয়াইদা আরাফ নামে ওই জাহাজে থাকা একজন কর্মী জানান, “ইসরাইলি জাহাজগুলো দেখার পর ক্রুরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।” জাহাজে থাকা ইউরোপীয় সংসদের একজন ফরাসি সদস্য এমা ফোররো ছিনতাইয়ের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এখানে।”
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, ক্রুরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের লাইফ জ্যাকেট পরে বসে আছে এবং সংঘর্ষ এড়াতে তাদের হাত ওপরে তুলে ধরেছে। ‘হান্ডালা’ গাজার শিশুদের জন্য ফর্মূলা, খাবার এবং ওষুধসহ মানবিক সহায়তা বহন করছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজাগামী একটি ত্রাণবাহী জাহাজ ছিনতাই করেছিল, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনার ছিলেন। তার আগে মে মাসেও ইসরাইলি ড্রোনগুলো মাতার উপকূলরেখার কাছে থাকা গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে আরোহণ করা একই ধরণের একটি জাহাজে আক্রমণ করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন: