সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্পের সবুজ সংকেতে গাজার পূর্ণ দখলের নির্দেশ নেতানিয়াহুর।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম

ট্রাম্পের সবুজ সংকেতে গাজার পূর্ণ দখলের নির্দেশ নেতানিয়াহুর।

ছবি- সংগৃহীত

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ওই অঞ্চলে সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'সবুজ সংকেত' রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রেক্ষাপট: গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক মহল বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে, ইসরায়েল এই হামলা অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও তা বারবার ভেঙে পড়েছে।


সম্প্রসারিত অভিযানের পরিকল্পনা: ইসরাইলি পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথ নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক সিনিয়র কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, "ফয়সালা হয়ে গেছে, আমরা গাজা উপত্যকার পূর্ণ দখলে নিতে যাচ্ছি।" এই অভিযানে জিম্মিদের রাখা হয়েছে এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ইসরাইলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এটি গাজা নিয়ে ইসরাইলের কৌশলে একটি বড় পরিবর্তন। ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কান জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি 'গাজা দখল' শব্দটি ব্যবহার করেছেন হামাসকে পরাজিত করার লক্ষ্য বোঝাতে।

যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেঙে যাওয়া ও ট্রাম্পের ভূমিকা: ইয়েদিওথ আহরোনোথের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সম্প্রসারিত অভিযানের জন্য নেতানিয়াহুকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এদিকে, ইসরাইলি চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, আইডিএফের চিফ অব জেনারেল স্টাফ এয়াল জামির ওয়াশিংটন সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন, কারণ যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেঙে পড়েছে এবং সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের চাপ বেড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা কানকে বলেছেন, ইসরাইল প্রায় চূড়ান্ত হওয়া একটি জিম্মি মুক্তি চুক্তিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, হামাসের কিছু শর্ত পূরণ করা সম্ভব ছিল, কিন্তু ইসরাইল সেই সুযোগ নষ্ট করেছে।

রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। এই নতুন সিদ্ধান্ত সেই অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।