আগস্ট ৭, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। বুধবার (৬ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই সম্ভাব্য বৈঠক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে জেনেভায় জো বাইডেন ও পুতিনের সাক্ষাতের পর এটিই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, পুতিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আর কোনো সাক্ষাৎ করেননি।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প বুধবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এক ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি এরপর পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পরিকল্পনা করবেন। এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “খুব শীঘ্রই একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “রুশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিন এবং জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গেই দেখা করার জন্য উন্মুক্ত।”
বুধবার পুতিন এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে একটি বৈঠকের পর এই তথ্য সামনে আসে। বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে 'মহান অগ্রগতি' অর্জনের কথা বললেও পরে তিনি জানান, তিনি এটিকে অগ্রগতি বলবেন না। তবে ক্রেমলিনের একজন সহযোগী এই আলোচনাকে 'উপযোগী এবং গঠনমূলক' বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি চুক্তিতে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ট্রাম্প পুতিনের ওপর ক্রমশই হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে রুশ তেলসহ বিভিন্ন পণ্য কিনছে এমন দেশগুলোর ওপর ভারী শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। বুধবার তিনি জানান, রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর পূর্বে ঘোষিত ২৫ শতাংশ শুল্কের মতো চীনের ওপরও আরও শুল্ক ঘোষণা করতে পারেন।
এই বৈঠকের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। এই বৈঠক ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে কোনো ভূমিকা রাখে কি না, তা জানতে সবাই আগ্রহী।