সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

যেসব কারণে জেন-জি আন্দোলন সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নেপাল

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

যেসব কারণে জেন-জি আন্দোলন সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নেপাল

ছবি - সংগৃহীত

নেপালের সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলন সামাল দিতে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন শুরুর আগে থেকেই পরিকল্পনা জানা থাকা সত্ত্বেও কেন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলো, তার পাঁচটি প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:

 নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ব্যর্থতা: আন্দোলনের পরিকল্পনা আগে থেকেই জানা থাকলেও তৎকালীন কেপি শর্মা ওলি সরকার কোনো সঠিক নিরাপত্তা কৌশল তৈরি বা কার্যকর করেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কাঠমান্ডু প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুতির অভাবে ছিল।

 সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়া: ব্যাপক প্রাণহানির পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকেন। অথচ সেদিন সকালে তিনি মাঠে পরিস্থিতি দেখার পরিবর্তে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পুলিশ বিল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এই বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে।

 কাঠমান্ডু পুলিশের নেতৃত্বশূন্যতা: আন্দোলনের ঠিক আগে কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ অফিসের এআইজি টেক বাহাদুর তামাং অবসর নেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল পুলিশ। এমন স্পর্শকাতর মুহূর্তে পূর্ণাঙ্গ এআইজি না থাকায় নিরাপত্তা শৃঙ্খলে দুর্বলতা তৈরি হয়।

 তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ভুল অবস্থান: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি জনগণের ক্ষোভ মোকাবিলা করা বা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে অস্থিরতার জন্য 'বিরোধী শক্তিকে' দায়ী করেন। তিনি পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন, যদিও পরে সর্বমুখী চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

 দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ: কেবল নিরাপত্তা দুর্বলতা নয়, দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং অনিয়মের কারণে নেপালের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তীব্র জনঅসন্তোষ ছিল। রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মুখে এই ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়ে সহিংস আন্দোলনে রূপ নেয়।