রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

মোহাম্মদপুর থানার ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম

মোহাম্মদপুর থানার ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রায়শই নানা প্রশ্ন ওঠে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা বা অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে এক সাংবাদিকের ছিনতাই হওয়া এবং এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অপেশাদার আচরণের অভিযোগের পর বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই সমালোচনার মুখে অবশেষে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।



 

ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই আনারুল এবং পুলিশ সদস্য মাজেদুর রহমান ও মো. নুরুন্নবী। উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। গ্রেপ্তাররা হলেন- ইউসুফ, সিয়াম এবং জহুরুল।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে, যখন সাংবাদিক আহমাদ ওয়াদুদ মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। ছিনতাইকারীরা চাপাতি দিয়ে তাকে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। গুরুতর আহত না হলেও তিনি এবং তার স্ত্রী ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান।

তবে থানায় গিয়ে পুলিশের অসহযোগিতার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন আহমাদ ওয়াদুদ। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, তৎকালীন ওসি আলী ইফতেখার হাসান তাকে বলেছিলেন, “আমি ওসি হয়েও এই কমদামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!”। এছাড়া, এসআই জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, “ওখানে ছিনতাইকারীরা বসে থাকবে নাকি? আপনার কমন সেন্স নাই?”

সাংবাদিকের এই ফেসবুক পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পুলিশের দায়িত্বহীন আচরণ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই সমালোচনার মুখে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় এবং দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।