জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নিলে বা অন্য কর্মচারীকে কাজে বাধা দিলে, তাকে বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে। ২৩ জুলাই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সই করা অধ্যাদেশটি জারি হয়। এই অধ্যাদেশটি সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে কার্যকর হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশের ৩৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র ও নির্দেশ অমান্য করেন বা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন, অথবা অন্য কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন, তাহলে তা সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য নিম্নপদে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত—এই তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে।
অধ্যাদেশে সরাসরি ‘আন্দোলন’ শব্দটি উল্লেখ না থাকলেও, আইনজীবীদের মতে, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অন্যকে কাজে বাধা দেওয়া বা প্ররোচিত করা—এসবই মূলত আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে, সরকারি কর্মচারীদের সংগঠিত ধর্মঘট বা কর্মবিরতি এই আইনের আওতায় পড়বে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবেন এবং শুনানির সুযোগ রাখবেন। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী চাইলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির।
জাতীয় পর্যায়ে এই অধ্যাদেশ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এতে কর্মচারীদের অধিকার সংকুচিত হবে, আবার কেউ বলছেন, সরকারি সেবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এটি জরুরি পদক্ষেপ।
আপনার মতামত লিখুন: