রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

ড্যাপ বাতিলসহ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ৪ দফা দাবি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৭, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

ড্যাপ বাতিলসহ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ৪ দফা দাবি

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহরের জন্য একটি সুপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাজউকের সর্বশেষ ড্যাপ (ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা মহলে বিতর্ক চলছে। স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে এই ড্যাপের বিরুদ্ধে জনস্বার্থবিরোধী ও বৈষম্যমূলক নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড্যাপ বাতিলের জোরালো দাবি জানিয়েছে, যা এই বিতর্কের নতুন মোড়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক গেজেট করা ড্যাপ (২০২২-৩৫) বাতিল করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি)। রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবিগুলো তুলে ধরেন আইএবি সভাপতি স্থপতি আবু সাইদ এম আহমেদ।

 

আইএবি-এর পক্ষ থেকে দেওয়া অন্য তিনটি দাবি হলো: ১. রাজউক ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনের সঠিক ও যৌক্তিক বাস্তবায়নের জন্য একটি ডিজিটাল ও সহজলভ্য ভূমি ব্যবহার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা। ২. প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একটি দুর্যোগ সহনীয়, অংশগ্রহণমূলক ও হালনাগাদ মৌজাভিত্তিক ড্যাপ তৈরি করা এবং তা প্রতি ৫ বছর অন্তর পর্যালোচনা করা। ৩. বৃহত্তর ঢাকা মহানগরী ও তার আশপাশের এলাকা নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, পরিবেশবান্ধব ও বৈষম্যহীন আধুনিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, যা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে এবং সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের মতো প্রতিশ্রুতিগুলো নিশ্চিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থপতি আবু সাইদ এম আহমেদ বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে রাজউকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কিন্তু কোনো প্রতিফলন পাইনি। তাই আজ জনগণের অধিকার তুলে ধরতে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। জনদুর্ভোগ এড়াতে, ভবিষ্যতের ঢাকা বাঁচাতে এবং নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লাখ লাখ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

 

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ বলেন, “ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ তড়িঘড়ি করে কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থে রচনা করা হয়েছে। এতে আইনি ব্যত্যয়, তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অস্বচ্ছতা, পরিবেশ বিপর্যয় এবং বৈষম্যমূলক নীতির মতো অসংখ্য অসংগতি রয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই ড্যাপ প্রণয়নের পর গত চার বছরে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৩৮ থেকে কমে ১৭১-এ নেমে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি স্থপতি মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং স্থপতি নওয়াজীশ মাহবুব প্রমুখ।