বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

গণঅভ্যুত্থানে বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

গণঅভ্যুত্থানে বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

ছবি - সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনায় জড়িত পুলিশ, সামরিক বাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'কোনো বাহিনী থেকে যাতে কেউ পার পেয়ে না যায়, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে। আমি নিজে অভিযোগ দিয়েছি, ডিজিএফআইয়ের যেসব কর্মকর্তা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে।'নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা রামপুরা-বাড্ডার ঘটনায় দেখেছেন, বিজিবির একজন আর্মি অফিসার, তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

ফলে ট্রাইব্যুনালের কাছে, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে যে, অপরাধীকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সে কোন বাহিনীর, সেটা যাতে দেখা না হয়।’ তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, গুম করেছে, নির্যাতন করেছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করেছে, তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এই আন্দোলনের নেতা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, 'এত মানুষ, আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, রক্ত দিয়েছে। যারা জড়িত, তাদের বিচার ও শাস্তি হবে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য ন্যায়বিচারের একটি নিদর্শন হয়ে থাকবে। যারা স্বৈরশাসন কায়েম করতে চায়, জনগণের ওপর আক্রমণ করে, তাদের পরিণতি কী হয়, তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।'

ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজে আমরা সন্তুষ্ট। তবে এটি শুধু একটি মামলা মাত্র। ট্রাইব্যুনালে আরও অনেক মামলা রয়েছে, এবং সাধারণ আদালতেও গুমের অনেক মামলা রয়েছে। তাই এই বিচারকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে।'

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সাধারণ আদালতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পাচ্ছেন না এবং অভিযুক্তরা সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই মামলাগুলো যাতে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, সরকারের কাছে তিনি সেই আবেদন জানান।