বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

পিআর দাবি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মুনাফেকি’: রিজভী

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম

পিআর দাবি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মুনাফেকি’: রিজভী

ছবি - সংগৃহীত

নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পর পিআর (প্রপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির দাবিতে চলমান আন্দোলনকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের কোনো রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতির দাবি জানায়নি।

তার মতে, হঠাৎ করে এই দাবি উত্থাপন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি আরও বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।

রিজভী আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিকে ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি আবারও ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার পথ সুগম করবে। তার মতে, আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, কারণ সাধারণ মানুষ পরিচিত এলাকার প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়, যা ‘দলীয় তালিকা’ ভিত্তিক ভোটিং সিস্টেমে সম্ভব নয়।

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গণতন্ত্র মানে ভিন্নমতকে সহ্য করা এবং তা প্রকাশের সুযোগ দেওয়া। তিনি বলেন, হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিকে সামনে এনে এটি ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়—এমন অবস্থান নেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।

রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, পিআর পদ্ধতিকে সামনে আনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে, যার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি ইসরায়েল, নেপালসহ অনেক দেশে পিআর পদ্ধতির কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার উদাহরণ তুলে ধরেন এবং বলেন, ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশও এই পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।

বাংলাদেশের মতো অপরিণত গণতন্ত্রে এই পদ্ধতি ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।