রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলের ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:০৮ এএম

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলের ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টি

ছবি- সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারির পাশাপাশি উপকূলীয় ১৫টি জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।



ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৫টি জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি এখন পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য বিরাজ করছে, যার ফলে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারের কারণে বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

এছাড়াও, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে শুরু করে কমপক্ষে তিন দিন (সোমবার পর্যন্ত) দেশের সব জেলায় পর্যায়ক্রমে বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।