আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলা নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, ছবি সরানোর বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আজাদ মজুমদার লিখেছেন, "সরকারি দপ্তরে পোর্ট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে জিরো পোর্ট্রেট নীতি বজায় রেখেছে।" তিনি আরও বলেন, "তারপরও কেউ কেউ সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি।"
তবে এই বক্তব্য একটি নতুন ধোঁয়াশার জন্ম দিয়েছে। কেননা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মৌখিক নির্দেশনার আলোকে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়নি। এই মৌখিক নির্দেশনার পরই বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি নামিয়ে ফেলার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আজাদ মজুমদার তার স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কারণে কিছু পক্ষ 'কাটতি ধরে রাখার জন্য' ছোটখাটো বিষয়কেও বড় করে তুলছে। তিনি বলেন, "নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর রাজনীতি নিয়ে ঘোঁট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। কাটতি ধরে রাখার জন্য ছোটখাটো অনেক বিষয়কেও এখন তাই পাহাড়সম করে তোলা হচ্ছে।"
এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। লিখিত নির্দেশনা না থাকার পরও কেন দূতাবাসগুলো ছবি সরিয়ে ফেলছে, এটি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে, সরকারের 'জিরো পোর্ট্রেট' নীতি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এটি কি শুধু রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য প্রযোজ্য নাকি অন্যসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবির ক্ষেত্রেও? এমন প্রশ্নও উঠে আসছে।