আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সোমবার (১৮ আগস্ট) জম্মুর সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
গত চার দিনে কিশ্তওয়ার ও কাঠুয়া জেলায় তিনটি ভয়াবহ মেঘভাঙা বিপর্যয় ঘটেছে। এর মধ্যে কিশ্তওয়ারের চিনসোটি গ্রামে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই মাচাইল মাতা মন্দিরগামী তীর্থযাত্রী বলে জানা গেছে। এছাড়া, জেলায় আরও ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং অন্তত ১১৬ জন আহত হয়েছেন।
আবহাওয়া দপ্তর ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ, বজ্রঝড়, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কতা জারি করেছে। এই সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে সেনাবাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে, বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, জম্মু, রিয়াসি, উদম্পুর, রাজৌরি, পুঞ্চ, সাম্বা, কাঠুয়া, ডোডা, কিশ্তওয়ার এবং রামবনসহ একাধিক জেলায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি সর্বাধিক। কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশেও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই দুর্যোগে স্থানীয় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার। খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে, এবং অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর টিভির সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
-20250806074544.jpg)
