আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১০:২০ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্স এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লেয়েন যোগ দিচ্ছেন। এই হাই-প্রোফাইল উপস্থিতি ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর ঐক্যের একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লেয়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিশেষ অনুরোধে তারা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ইউক্রেন চাইছে, ইউরোপের এই শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি মার্কিন রাজনীতিতে একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে যে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন প্রদানের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্ব একতাবদ্ধ।
বার্লিনে জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফান করনেলিয়াস রোববার (১৭ আগস্ট) বলেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর এই বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জার্মানির অব্যাহত প্রচেষ্টা তুলে ধরবেন। এছাড়াও ইউরোপীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্ন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা এবং ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকটি শুধু একটি কূটনৈতিক বৈঠক নয়, বরং ইউক্রেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির একটি কৌশল। ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা সীমিত করার ইঙ্গিত দেওয়ায়, ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য তৈরি করবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাবে যে, ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষা করা পশ্চিমা বিশ্বের একটি যৌথ দায়িত্ব, যা কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি জেলেনস্কি একা এই বৈঠকে যোগ দিতেন, তাহলে এর গুরুত্ব কিছুটা কম হতে পারত। কিন্তু ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রও বুঝতে পারবে যে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কোনোভাবেই হ্রাস করা যাবে না।