আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। রোববার (১৭ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই মন্তব্য করেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের উদাহরণ টেনে বলেন, দুই পক্ষ সমানভাবে সম্মত না হলে কোনো যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হয় না।
মার্কো রুবিও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন এবং তা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ট্রাম্প নিজেও একাধিকবার দাবি করেছেন, তার মধ্যস্থতায় দিল্লি ও ইসলামাবাদ গত মে মাসে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। তিনি বলেন, "সেটি হয়তো পারমাণবিক সংঘাতে গড়াতো, আমি সেটি ঠেকিয়েছি।"
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে বলেছিলেন যে, 'অপারেশন সিঁদুর' বন্ধ করার জন্য কোনো বাইরের পক্ষ থেকে চাপ আসেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও জানান, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে এই যুদ্ধবিরতি আসেনি, এটি দিল্লির নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, পাকিস্তান শুরু থেকেই ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়ে আসছে এবং ইসলামাবাদে এই প্রচারণা চলছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণেই সীমান্তে শান্তি ফিরেছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দু’বার ওয়াশিংটন সফর করেছেন এবং মার্কিন প্রশাসন ইসলামাবাদকে পাশে টানতে একটি তেল সরবরাহ চুক্তিও ঘোষণা করেছে।
মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এখনও নাজুক। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।