বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

জুলাই সনদের ৩ দফায় বিএনপির আপত্তি, কমিটি গঠন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ১০:২৭ এএম

জুলাই সনদের ৩ দফায় বিএনপির আপত্তি, কমিটি গঠন

ছবি- সংগৃহীত

সরকার ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয় না থাকলেও, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার তিনটি দফায় (২, ৩ ও ৪) আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকদের মতে, সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় বেশকিছু অসামঞ্জস্য রয়েছে। এই বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করার জন্য দলের তিন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা পর্যালোচনা শেষে ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির মতামত জানাবেন।

সোমবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বৈঠকে আরও ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

আপত্তির মূল কারণ: বৈঠক সূত্র জানায়, ২৮ পৃষ্ঠার এই খসড়া পর্যালোচনায় বিএনপির নেতাদের সামনে কিছু বিষয় উঠে আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আপত্তিগুলো হলো:

  • সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামায় জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে।

  • ঐকমত্য কমিশনে ধারাবাহিক বৈঠকে আলোচনা হয়নি, এমন কিছু বিষয়ও এতে যুক্ত করা হয়েছে।

  • সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংক্রান্ত সংশোধনী পাশের কথা প্রথমে থাকলেও চূড়ান্ত খসড়ায় তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রমতে, পূর্ণাঙ্গ খসড়া নিয়ে সামগ্রিকভাবে খুব বেশি আপত্তি নেই বিএনপির। তবে তাদের মতে, সনদে যেসব মৌলিক প্রস্তাবে 'নোট অব ডিসেন্ট' এসেছে, সেগুলোতে ছাড় দিতে চায় না দলটি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না এবং নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন—এসব অন্যতম।

বিএনপি মনে করে, সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষমতায়িত করা হলে তা সংসদীয় গণতন্ত্রকে অকার্যকর করে তুলবে।