সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
জুমার দিন মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জামাতের সঙ্গে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করা হয়। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কিছু ব্যক্তি জুমার নামাজ জামাতে ধরতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে ইসলামে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি জুমার জামাত না পান, তাহলে তাকে জোহরের ৪ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, জুমার নামাজ জামাত ছাড়া একা আদায় করা যায় না। জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিনজন মুসল্লির উপস্থিতি প্রয়োজন। তাই কেউ যদি মসজিদে গিয়ে দেখেন জুমার নামাজ শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তাকে জোহরের ৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকাতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকাত পড়ে নেয়।” (তাবারানি, বায়হাকি, মুসান্নেফে ইবনে আবি শায়বা)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, যদি কোনো ব্যক্তি জুমার নামাজ পুরোপুরি না পান, তাহলে তাকে জোহরের নামাজ আদায় করতে হবে।
তাহলে কি জোহরের সুন্নত নামাজও আদায় করতে হবে? ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমগণ এ বিষয়ে একমত যে, যেহেতু জুমার নামাজ মিস হয়েছে এবং তার পরিবর্তে জোহরের নামাজ আদায় করা হচ্ছে, তাই জোহরের নামাজের সঙ্গে তার সুন্নতগুলোও আদায় করতে হবে। জোহরের নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত এবং পরে দুই রাকাত সুন্নত রয়েছে। সুতরাং, জুমার নামাজ না পেলে জোহরের চার রাকাত ফরজ এবং তার সঙ্গে সুন্নত নামাজও আদায় করতে হবে।