বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি: হৃদয়-ইমনের জুটিতে সহজ জয়ের পথে বাংলাদেশ

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয়ের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের উইকেট হারালেও, তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন দলের হাল ধরেছেন এবং ইতোমধ্যে ৫৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছেন। তাদের ব্যাটেই বাংলাদেশ দীর্ঘ ৯ বছরের টি-টোয়েন্টি জয়ের খরা কাটাতে চাইছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই অলআউট হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান। এছাড়া আব্বাস আফ্রিদি ২২ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন, যা তার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও, মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেশি ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েন, যা তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের প্রমাণ।

১১১ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই কিছুটা বিপাকে পড়ে যায়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার সালমান মিরাজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন। তিনি ৪ বলে মাত্র ১ রান করার সুযোগ পান। তানজিদ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাঁহাতি পেসার সালমান মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তিনিও তানজিদের মতো ৪ বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন। লিটনের বিদায়ে ২.২ ওভারে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এর পরই দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তাদের দৃঢ় জুটি বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৪ রান, এবং জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪৭ রান। এই পরিস্থিতিতে, হৃদয় ও ইমনের জুটি যদি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সহজেই এই ম্যাচ জিতে দীর্ঘদিনের জয়ের খরা কাটাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।