সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
এশিয়া মহাদেশের ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই আবারও শুরু হচ্ছে। আজ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৭তম আসর। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টুর্নামেন্টের জন্য আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত আধুনিক ভেন্যু প্রস্তুত করেছে। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে এশিয়ার আটটি শক্তিশালী দল—ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, ওমান এবং হংকং।
টুর্নামেন্টের ফরম্যাট
দলগুলো দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল উঠবে সুপার ফোরে, সেখান থেকে নির্ধারিত হবে ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দলগুলোর শক্তি-সামর্থ্য
ভারত: সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত। তাদের ব্যাটিং লাইনে শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, জিতেশ শর্মা, রিঙ্কু সিং, অভিষেক শর্মারা যেমন আছেন, তেমনি বোলারদের মধ্যে আছেন জসপ্রিত বুমরাহ।পাকিস্তান: ফাখর জামান ও সাহিবজাদা ফারহানের মতো বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি যেকোনো দলের জন্য আতঙ্ক। সঙ্গে শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলি ও হারিস রউফদের বোলিং লাইনআপ তাদের বড় শক্তি।বাংলাদেশ: লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদদের অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের দাপট টাইগারদের এবারের আসরে চমক দেখানোর প্রত্যাশা তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো পারফর্ম্যান্স দলটিকে দারুণ আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।আফগানিস্তান: রশিদ খানের নেতৃত্বে আফগানিস্তান এবারের এশিয়া কাপে চমক দেখানোর অপেক্ষায়। রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান, এবং মুজিব-উর রহমান ও নুর আহমদের স্পিন আক্রমণ তাদের বড় ভরসা।শ্রীলঙ্কা: চারিথ আশালঙ্কার নেতৃত্বে দলটি তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দারুণ সমন্বয়ে গড়া। কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কারা, হাসারাঙ্গা ও কামিন্দু মেন্ডিস তাদের বড় শক্তি।হংকং, ওমান ও আরব আমিরাত: এই তিনটি দল কাগজে-কলমে কিছুটা দুর্বল হলেও টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। তাদের মারকুটে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
যে বিষয়গুলো আলোচনায়
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ: বরাবরই এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই এশিয়া কাপে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান: গত কয়েক আসরে এই দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ রোমাঞ্চকর ছিল।পিচের কৌশল: আবুধাবি ও দুবাইয়ের স্পিন-সহায়ক উইকেট দলগুলোকে ভিন্ন কৌশল নিতে উৎসাহিত করবে।
পরিসংখ্যানের আঙিকে
ভারত সবচেয়ে বেশিবার (৭ বার) এশিয়া কাপ জিতেছে।
শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ বেশ আত্মবিশ্বাসী।
সব মিলিয়ে, এশিয়া কাপ ২০২৫ হতে যাচ্ছে ব্যাট-বলের এক রোমাঞ্চকর আসর। এবারের টুর্নামেন্ট থেকে কি আমরা নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন দেখব, নাকি ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার আধিপত্যই অব্যাহত থাকবে—তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসরের শেষ পর্যন্ত।