বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২

মুক্তির ডাকে নতুন গান যা হয়ে উঠেছে জুলাই বিপ্লবের অগ্নিশিখা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

মুক্তির ডাকে নতুন গান যা হয়ে উঠেছে জুলাই বিপ্লবের অগ্নিশিখা

ছবি- সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় প্রকাশিত নতুন সংগীত ‘আয় তারুণ্য’। এই গানটি জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই এটি বিপ্লবের এক অগ্নিশিখার মতো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এই গানটি কেবল একটি সংগীত নয়, বরং এটি একটি বার্তা, যা দেশকে আবার নতুন করে স্বাধীন করার লক্ষ্যে মানুষকে জাগিয়ে তুলেছে।

এই সংগীতের পেছনের মূল কথা হলো, তরুণ প্রজন্মকে মুক্ত-স্বাধীন হয়ে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানানো। গানের কথা লিখেছেন বিলাল হোসাইন নূরী এবং সুর করেছেন রাআদ ইজামা। তাদের এই সৃষ্টিটি এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন দেশের তরুণরা একটি নতুন দিকনির্দেশনার সন্ধান করছিল। গানের প্রতিটি শব্দ এবং প্রতিটি সুর তরুণদের মনে এক নতুন শক্তি এবং সাহস জাগিয়ে তুলেছে।

গানের লিরিক্সের মূল ভাব অনুযায়ী, তরুণদের মুক্ত-স্বাধীন হাতে যে শেকল পরানো হয়েছে এবং তাদের স্বপ্ন-সজীব চোখের কোণে যে অশ্রু ঝরেছে, সেই অত্যাচারীর বুকের চাতাল ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি কেবল একটি গান নয়, বরং এটি একটি প্রতিবাদ, যা সমাজের সকল অন্যায় এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলে। গানের কথাগুলো খুবই শক্তিশালী এবং এটি তরুণদের মনকে ছুঁয়ে যায়।

এই গানটির নির্মাণশৈলীও খুবই ব্যতিক্রমী। গানটি নির্মাণে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী এবং কলাকুশলী তাদের শ্রম দিয়েছেন। শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আতিক তাশরীফ, জাহিদুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান বুলবুল, ফয়সাল আহমেদ, আতাউর রহমান, মোরশেদুল ইসলাম, নিয়ামুল হোসাইন, রাফি পাটোয়ারী এবং রাআদ ইজামা। তাদের প্রত্যেকের কণ্ঠের অসাধারণ যুগলবন্দী গানটিকে আরও বেশি হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে।

অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ, হোসনে মুরাদ তারিফ, মুয়াজ বিন মাকসুদ, এহসান আল জাওয়াদ মাহি, আব্দুল কাইয়্যুম, জয়নাল আবেদীন সাজিদ, জায়হান উদ্দীন ওমর এবং জায়েদ বিন দেলোয়ার। তাদের অভিনয় গানের বার্তাটিকে আরও বেশি স্পষ্ট এবং শক্তিশালী করেছে। শব্দ সংমিশ্রণ করেছেন জুলকার নাইন এবং শব্দ ধারণ করেছে ইনোভেশন। চিত্র ধারণ করেছেন মুহাম্মাদ ইলিয়াস এবং আলোক প্রক্ষেপন করেছেন আলমগীর। সম্পাদনা, রঙ ও নির্দেশনা দিয়েছেন নাজমুল বিন আশশাব এবং পরিচালনা করেছেন আতিক তাশরীফ।

এই গানটি এমন একটি সময়ে রিলিজ হয়েছে, যখন দেশের তরুণরা একটি নতুন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। এই গানটি তাদের সেই পরিবর্তনের যাত্রাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। এটি কেবল একটি গান নয়, বরং এটি একটি বার্তা, যা তরুণদের মধ্যে ভালোবাসা, শান্তি এবং ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। এটি কেবল একটি নতুন গান নয়, বরং এটি একটি নতুন যাত্রা, যা সংগীতের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়কে সত্যের পথে পরিচালিত করবে।