আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) সংবিধির প্রস্তাব বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়েছে। এই নতুন সংবিধিতে শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বয়সসীমার বাধ্যবাধকতা থাকছে না, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জকসু সংবিধির নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন। তবে কিছু নির্দিষ্ট শর্তও এতে যুক্ত করা হয়েছে। পূর্ণকালীন চাকরিজীবী এবং এমফিল-পি.এইচ.ডি. পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা জকসুর ভোটার বা প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন না। অন্যদিকে, খণ্ডকালীন চাকরিজীবীরা এই সুযোগ পাবেন। এছাড়া, প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী, বিশেষ ডিগ্রিধারী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরাও জকসুর আওতাভুক্ত হবেন না।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, গৃহীত সংবিধি প্রস্তাবটি আগামী বৃহস্পতিবার বা রবিবারের মধ্যে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। উপাচার্য আরও বলেন, দ্রুত আইন পাস হলে খুব শিগগিরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানে জকসুর মূল উদ্দেশ্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন এবং অন্যান্য জাতীয় গণআন্দোলনের চেতনা ধারণ ও প্রচারের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব গুণাবলি বিকাশ এবং মুক্তচিন্তার চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
নতুন সংবিধি অনুযায়ী, জকসুর কার্যনির্বাহী কমিটি হবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট। এর মধ্যে উপাচার্য সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে কোষাধ্যক্ষ হবেন। বাকি ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, প্রতিটি হলের জন্য ১৭ সদস্যের একটি হল সংসদ গঠনেরও বিধান রাখা হয়েছে, যার সভাপতি হবেন হলের প্রভোস্ট।