আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
সিলেটের জাফলং ও গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে লুট হওয়া সাদা পাথর উদ্ধারে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি চিরুনি অভিযান। একই দিনে, এই জাতীয় সম্পদ লুটপাটের ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করছে। ধলাই নদী ও পাথর উত্তোলন কেন্দ্রগুলোতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ধারাবাহিক অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর, যার মধ্যে ৬ লাখ ঘনফুট ইতিমধ্যেই নদীতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পাথর লুটপাটের ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক, সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সাদাপাথরের মতো জাতীয় সম্পদ লুটপাট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দোষীরা যেই হোক, আইনের আওতায় আসবে এবং নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হবে না।"
কমিটির সদস্য সচিব ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ জানান, তাদের ১০ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এই প্রতিবেদনে লুটে জড়িতদের তালিকা, দায়িত্বহীনতার বিবরণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক সুপারিশ থাকবে।
এদিকে, বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, পাথর লুটকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হচ্ছে এবং দোষীদের নাম প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে অন্তত ৪২ জন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী ব্যক্তির এই লুটপাটে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদী, সীমান্ত এলাকা ও সব পাথর মজুদস্থলে এই চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণের আশা, এই অভিযানের ফলে দীর্ঘদিনের দখলদারিত্ব, লুটপাট ও পরিবেশ ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ হবে।