মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৯, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি- সংগৃহীত

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চলমান এইচএসসি পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখার হতাশায় তনু চন্দ্র দাস (১৮) নামে এক পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ৯টার দিকে তিনি কীটনাশক পান করেছেন বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহত তনু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শায়েস্তাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক ক্ষিতিস চন্দ্র দাসের একমাত্র মেয়ে। তিনি তজুমদ্দিন মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

তনুর মা উজ্জলা রাণী জানান, গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) তনুর জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বাসায় এসেই সে অস্থির হয়ে পড়ে। তার মা অস্থিরতার কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখেছেন। এ সময় সে বার বার বলছিল, ‘আমি আর পাশ করব না’। পরে তাকে পরিবারের লোকজন সান্ত্বনা দেন। এ সময় সে কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে তার রুম থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে রুমে গিয়ে দেখেন, পানের বরজে দেওয়ার জন্য ঘরে এনে রাখা কীটনাশক খেয়ে সে ছটফট করছে।

পরে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন বলেন, "ওই তরুণীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় তিনি মারা যান।"

তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মহব্বত খান  বলেন, "নিহত পরীক্ষার্থীর মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।"