জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিক্রি বন্ধ করা অপরিহার্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে এসব ওষুধ বিক্রি করে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের এক যৌথ অভিযানে অবৈধ ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা জনমনে স্বস্তি এনেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫টি ফার্মেসিকে জরিমানা, ৬টি ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং একটি ফার্মেসিকে সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়েয়া বাজারে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে অবৈধ ওষুধ বিক্রি, ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য রাখা, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন কার্যক্রম, সরকারি ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিষয়গুলো বিশেষভাবে নজরদারি করা হয়। অনিয়মের অভিযোগে ৬টি ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, ৫টি ফার্মেসিকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং "মোস্তফা ফার্মেসি" নামের একটি ফার্মেসিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালে অন্যান্য ফার্মেসিগুলোকে নকল-ভেজাল ও আনরেজিস্টার্ড ওষুধ বিক্রি না করা, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি না করা এবং সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রহমান শেখ জানান, সেনাবাহিনীর এই যৌথ অভিযানের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন: