মো: ফয়সাল উজ্জামান
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:১৬ এএম
ছবি - সংগৃহীত
বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি ও ধর্মীয় সমাজে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে এবার তারা পঞ্চগড় জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করেছে। এটি তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার একটি অংশ।
গত রবিবার (১৪ই সেপ্টেম্বর), পঞ্চগড় সদর উপজেলার দারুল উলূম ফারুকিয়া আল-ইসলামিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে এক কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেব।
উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা মুফতী বশিরুল্লাহ, দফতর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, এবং সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূর। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি এই কমিটির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এই অধিবেশনে মাওলানা মাহমুদুল আলম-কে সভাপতি, মাওলানা আব্দুল হান্নান সাহেব-কে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা আব্দুল গফুর-কে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন-কে সাংগঠনিক সম্পাদক,
আলহাজ্ব হোসাইন-কে অর্থ সম্পাদক, মাওলানা সুলতান-কে প্রচার সম্পাদক, এবং মাওলানা আবু শাহিন-কে দফতর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। এই নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অতিসত্তর ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুরব্বিদের রেখে যাওয়া আমানত ও একটি রুহানি সংগঠন।
এ সংগঠনকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদেরকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করতে হবে। যেন কোনো সুযোগ সন্ধানী গোলমাল পাকাতে না পারে এবং হেফাজতের উদ্দেশ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতে না পারে।” তার এই বক্তব্যটি প্রমাণ করে যে, এই সংগঠনটি তাদের আদর্শের প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মুফতি বশিরুল্লাহ বলেন, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদেরকে গভীর চিন্তার অধিকারী হতে হবে। হুটহাট সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
যারা হুটহাট সিদ্ধান্ত নেয় তাদের কোনো সংগঠনে আসা উচিত নয়। এবং নির্ভীক হতে হবে, সব সময় সত্যের উপর অটল থাকতে হবে। সামান্য ভয় পেয়ে ইস্তফা দিয়ে দেওয়া বা দল থেকে দূরে সরে যাওয়া এই জাতীয় মনোভাব থাকা যাবে না। এবং কোনো ধরনের লোভ থাকা চলবে না। পদ, অর্থ, ক্ষমতার লোভ থাকতে পারবে না।
” তার এই মূল্যবান উপদেশটি কেবল এই সংগঠনের জন্য নয়, বরং যেকোনো রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের জন্য একটি আদর্শ দিক-নির্দেশনা।
তিনি যুবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোমরা সর্বদা মুরুব্বিদের তত্ত্বাবধানে চলবে কারণ তোমরাই ইসলামের জন্য শিশা ঢালা প্রাচীর স্বরূপ।” তার এই বক্তব্যটি প্রমাণ করে যে, তিনি যুবকদেরকে কতটা গুরুত্ব দেন।