সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

‘টু-লেট’ প্রতারণায় কারাগারে ২ তরুণী, বাদীও প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৯:৫১ এএম

‘টু-লেট’ প্রতারণায় কারাগারে ২ তরুণী, বাদীও প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য

ছবি - সংগৃহীত

ময়মনসিংহ নগরীতে ফেসবুকে 'টু-লেট' বিজ্ঞাপন দেখে বাসা দেখতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্র। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে, ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। জানা গেছে, মামলার বাদী অর্থাৎ ঘটনার শিকার ওই কলেজছাত্র নিজেও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য হিসেবে আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

আনন্দ মোহন কলেজের গণিত বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান ওরফে নাঈম ফেসবুকে 'টু-লেট' বিজ্ঞাপন দেখে নগরের গুলকিবাড়ী এলাকায় একটি সাবলেট বাসা দেখতে যান। তার অভিযোগ, সেখানে চারজন তরুণী ও চারজন তরুণ মিলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করেন এবং তার মোবাইল, ল্যাপটপ ও ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সাদিয়া জাহান ওরফে মেঘলা (২১) এবং ফারিয়া আক্তার ওরফে পায়েলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে নাজমুলের মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করে।

প্রতারণার এই ঘটনা প্রকাশের পরই সামনে আসে নতুন তথ্য। মামলার বাদী নাজমুল হাসান ওরফে নাঈম চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এ মোহাইমেনুর রশিদ জানিয়েছিলেন, নাজমুল মানুষকে ভুয়া প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম ফকির বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। তিনি আরও বলেন, তারা বাদীর পূর্বের অপরাধের বিষয়ে জেনেছেন এবং এখন বাদীর বিষয়টিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখা হবে। বর্তমানে নাজমুলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

পুলিশ এই চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে এবং দুই তরুণীর বিলাসী জীবনের অর্থের উৎসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।