বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি, নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

মোস্তাফিজুর রহমান

আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১০:৪২ এএম

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি, নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

ছবি- মোস্তাফিজুর রহমান | দিনাজপুর টিভি

গাইবান্ধা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো, যেমন—ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা, করতোয়া ও যমুনার পানি বর্তমানে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা ঘাঘট নদে গাইবান্ধা সদর অংশে, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ ও কাউনিয়া পয়েন্টে এবং করতোয়া নদীর গোবিন্দগঞ্জ অংশে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় পাউবো-এর রেকর্ডকৃত তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (১৮.৩৮ সেন্টিমিটার), তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ০.২৩ সেন্টিমিটার নিচে (২৯.০৮ সেন্টিমিটার), ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (১৯.৬৮ সেন্টিমিটার) এবং করতোয়া নদীর চক রহিমাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার দেড় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (১৮.০১ সেন্টিমিটার) প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। কৃষিজমিতে পানি ঢুকে আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত এবং আউশ ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অনেক গ্রামীণ রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ছে।

এদিকে, তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় ঘরের আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানা গেছে।

গাইবান্ধা পাউবো-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে জানিয়েছেন, উজানের ঢল ও গত রাতের ভারী বর্ষণের ফলে গাইবান্ধার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে।