শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

সাত দফা দাবিতে রংপুরে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

সাত দফা দাবিতে রংপুরে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’

ছবি- সংগৃহীত

সাত দফা দাবি আদায় এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে ‘লং মার্চ টু নেসকো’ কর্মসূচি পালন করেছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা রংপুর শহরের প্রবেশপথ রংপুর-ঢাকা সড়কের ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় রংপুর নেসকো অফিসে এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান কর্তৃক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ওপর 'মব সৃষ্টি করে' হামলার অভিযোগের পর। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এই ঘটনার দায় উল্টো ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ওপর চাপিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় ১০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই লং মার্চে অংশ নেয়। তারা রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেসকো অফিসের আঞ্চলিক কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশি বাধার মুখে তারা পুরাতন ট্রাকস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজার রহমানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

তাদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে:

১. বিদ্যুৎ খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার। ২. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার। ৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ব্যতীত অন্যদের নিয়োগ বন্ধ করা। ৪. সকল প্রতিষ্ঠানে সহকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের হার ১:৫ করা। ৫. উপ-সহকারী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে ৩৩ ভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

সমাবেশ থেকে এই দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে রাজশাহীতে নেসকোর প্রধান কার্যালয় অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।

আন্দোলন চলাকালীন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বুয়েট শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা আন্দোলন থেকে সরে আসারও দাবি জানান।

পরে জনদুর্ভোগ এড়াতে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।