সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (রোববার) পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে, যা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা যাবে। এই চন্দ্রগ্রহণ ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে এবং বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হবে। চন্দ্রগ্রহণ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা এবং ইসলাম ধর্ম উভয় ক্ষেত্রেই বিশেষ ব্যাখ্যা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, যখন সূর্য এবং চাঁদের ঠিক মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে যায়।
পবিত্র কোরআনেও এর ইঙ্গিত রয়েছে। সূরা কিয়ামাতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যখন দৃষ্টি চমকে যাবে, চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে, তখন সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে' (আয়াত: ৭-৯)। এই আয়াতে 'চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে পড়া'-এর বাস্তব রূপই হলো চন্দ্রগ্রহণ।
ইসলামে চন্দ্রগ্রহণকে আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়। অন্ধকার যুগে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছিল যে, কোনো বড় ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়।
এই ভুল ধারণা দূর করতে মহানবী (সা.) বলেছিলেন, "সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে, তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে, তাকবির বলবে, নামাজ আদায় করবে এবং সদকা প্রদান করবে।" (বোখারি: ১০৪০)।
চন্দ্রগ্রহণের সময় বিশেষ নামাজ আদায় করা সুন্নত, যাকে 'সালাতুল খুসুফ' বলা হয়। এই নামাজ একাকী আদায় করার নিয়ম, জামাতে নয়। যারা চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবেন, তারা নিজ নিজ বাসায় ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।
ইচ্ছামতো এর চেয়ে বেশিও আদায় করা যায়, তবে প্রত্যেক দুই বা চার রাকাত পর সালাম ফেরাতে হয়। এই নামাজের জন্য কোনো আজান বা একামত নেই। নামাজ শেষে জিকির, দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে চন্দ্রগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।