শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

রাজশাহীতে খানকা শরীফ ভাঙচুর, ওসি দাঁড়িয়ে দেখলেও থামাননি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

রাজশাহীতে খানকা শরীফ ভাঙচুর, ওসি দাঁড়িয়ে দেখলেও থামাননি

ছবি - সংগৃহীত

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে একটি খানকা শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি প্রায় ১৫ বছর আগে তার বাড়ির পাশে 'হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভাণ্ডারি গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ' নামে এই খানকা প্রতিষ্ঠা করেন।

এ বছর তিন দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারী শিল্পী ও মুর্শিদী গানের আয়োজন করা হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয়রা অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আজিজুর রহমান ভাণ্ডারির অভিযোগ, জুমার নামাজের পর দেড় শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে তার খানকায় হামলা চালায়।

হামলার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে দুই গাড়ি পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও জনতাকে থামাতে পারেনি। এ বিষয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, "মানুষ এত বেশি ছিল যে অল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে কিছু করা সম্ভব হয়নি। এখন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি জানান, হামলাকারীরা তার বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছুড়েছে। তবে তিনি থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু করতে পারেনি, সেখানে অভিযোগ করব কার কাছে? আমি মানবধর্ম করি, সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন।"

ভাণ্ডারি দাবি করেন, ইউপির সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও গোলাম মোস্তফা হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছেন যে তিনি থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর পবা উপজেলার আমির আযম আলীও তাদের দলের দায় অস্বীকার করেছেন।