সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় যারা তৌহিদী জনতাকে উসকে দিয়েছে, তারাই মূল অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, নুরাল পাগলার কর্মকাণ্ড ছিল ভণ্ডামি, কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে যা করা হয়েছে তা ইসলামের নামে আরেক ধরনের ভণ্ডামি।
মাসুদ কামাল বলেন, "এ কবর থেকে লাশ তুলে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা আপনারা জীবদ্দশায় শুনেছেন কি না আমি জানি না। কিন্তু রাজবাড়ীতে এটা ঘটেছে এবং ঘটতে দেওয়া হয়েছে।" তিনি বলেন, এই ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কয়েক দিন আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, কারণ এর সঙ্গে জড়িতরা আগেই একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল।
হামলার দুই দিন আগে যারা ঈমান-আকিদা কমিটি হিসেবে বিবৃতি দিয়েছিল, হামলার পর তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার ভিডিওতে অন্যদের দেখা গেলেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এখন অনেকেই ধরা পড়বে, কিন্তু যারা জনতাকে উসকে দিয়েছে তারাই আসল কালপ্রিট।
এ ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে মাসুদ কামাল বলেন, সরকার ঘটনা ঘটার পর একটি বিবৃতি দিয়েছে যে, এটি ঠিক হয়নি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, "এই সরকার খুবই ইন্টারেস্টিং— তারা ঘটনা ঘটতে দেয়, তারপর একটা বিবৃতি দেয়।" তার মতে, সরকারের কাজ ঘটনা ঘটতে না দেওয়া, কিন্তু তারা ঘটতে দেয়।
মাসুদ কামাল আরও বলেন, এই সরকারের আমলে শতাধিক মাজার ভাঙা হয়েছে এবং এর সঙ্গে বারবার জামায়াত ইসলামের নাম এসেছে। কারণ জামায়াত ইসলাম মাজারপন্থী চিন্তাধারাকে সমর্থন করে না, তারা মাজার বিরোধী। তবে জামায়াত ইসলামের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যদিও এই ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে, কিন্তু ঈমান আকিদা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের রাজবাড়ী জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামকে দেখা গেছে।
মাসুদ কামাল বলেন, হামলার ঘটনার পর নুরুল ইসলাম তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লাশ পোড়ানোর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নুরুল ইসলাম হয়তো নিজে লাশ তোলার সঙ্গে ছিলেন না, কিন্তু উন্মত্ত লোকজনকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার কাজটি এই ঈমান-আকিদা কমিটিই করেছে।