সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাতের প্রতিবাদে এক ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনায় একজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নুরাল পাগলের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা কবরটি মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু করে কাবা শরিফের আদলে তৈরি করেছিল। এই বিষয়টি স্থানীয় আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
তাদের দাবি ছিল, এটি শরিয়ত পরিপন্থি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার সামিল। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। কিন্তু শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় মুসল্লিরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা চালায়। তারা দরবার শরিফ ও অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই হামলার সময় নুরাল পাগলের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক মানুষ আহত হন। উত্তেজিত জনতা কবর ভেঙে নুরাল পাগলের লাশ বের করে নিয়ে আসে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুল রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তার গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসির গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, তবে আহতদের সঠিক সংখ্যা এখনও বলা যাচ্ছে না। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের হাসপাতালে ২২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো মৃত্যুর খবর নেই। তবে দ্য ডেইলি স্টার বাংলা এবং টিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন।