জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
বর্ষা মৌসুমে এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি একটি সাধারণ ঘটনা। তবে যখন সেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে, তখন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের নদীগুলোর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে বন্যা ও নদীভাঙনের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম ও সংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২৬ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ১.১২ সেন্টিমিটার ও দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার এবং পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তাজুল ইসলাম আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীসমূহের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের গেজ স্টেশনের পানির উচ্চতা পর্যালোচনা করে। এসব স্টেশনের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বাকি ১৪টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকার বসতবাড়ি, ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে যাচ্ছে। পানি নামতে শুরু করলে এসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে পানি বৃদ্ধি এবং বৃষ্টি কোনো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করবে না, কারণ বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে নদী ও খালের এটি স্বাভাবিক চরিত্র।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে চরাঞ্চলে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় পানি প্লাবিত হতে পারে। সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন: