সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
প্রখর তাপের পর এবার বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেটে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, যা সারাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদ পয়েন্টে ৯৩ সেনিলিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. মো. আনেয়ারুল ইসলাম বলেন, "সিলেটের এই বন্যার কারণ শুধু স্থানীয় বৃষ্টিপাত নয়। ভারতের উজানে অতি ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল, নদীর ভরাট হয়ে যাওয়া এবং অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণই এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।"
তিনি আরও জানান, বর্ষার শেষে এসে নদ-নদী ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যার পূর্বাভাস চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভারী বৃষ্টি শুধু বন্যার ঝুঁকিই নয়, ভূমিধস ও নদীভাঙনের আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সিলেটে ৫৫.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার বন্যা মোকাবিলায় প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও সিলেটবাসী টেকসই সমাধান পায়নি। ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় সিলেটে প্রায় দুই হাজার আটশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল।
এর বেশিরভাগই কৃষি ও মৎস্য খাতে। সিটি করপোরেশনের ৪ হাজার ৬শ কোটি টাকার একটি ড্রেনেজ প্রকল্প এখনো মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে, যা এই সমস্যার সমাধানে আরও বিলম্ব ঘটাচ্ছে।