মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি, কেজিতে কমল ৫-৬ টাকা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম

হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি, কেজিতে কমল ৫-৬ টাকা

ছবি- সংগৃহীত

চাল আমদানিতে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আসা অব্যাহত রয়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ। এই আমদানির ফলে প্রতি কেজিতে ৫-৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে চালের দাম, যা দেশের সারাদেশে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা (এ আর ও) নাজমুল হোসেন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ৯১১টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ৩৯ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন ৭১৭ কেজি চাল এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পূর্বের ৬৩.৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে মাত্র ২ শতাংশ নির্ধারণ করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমদানিকারকরা বিপুল পরিমাণে চাল আমদানি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, বন্দর মোকামে বর্তমানে স্বর্ণা, সম্পা কাটারি, রত্নাসহ বিভিন্ন জাতের চাল আমদানি হচ্ছে। দাম কমার ফলে বাংলাহিলি খুচরা বাজারে বর্তমানে মিনিকেট ও সম্পা কাটারি চাল ৭০ টাকা, স্বর্ণা-৫ চাল ৫২ টাকা এবং আটাশ চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আমদানিকারকরা অভিযোগ করছেন, দেশে চাল আমদানি শুরু হওয়ার আগেই ভারতের ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৩-৪ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যার কারণে তারা লাভের মুখ দেখছেন না।

বাংলাহিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা স্বপন পাল জানান, বর্তমান চালের দাম নিয়ে কিছুটা হলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। ৭-৮ দিন আগে সম্পা কাটারি ৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা কমে ৬৭-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আনিছুর ও মোহাম্মদ আলী বলেন, আগের চেয়ে দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা করে কমেছে। তারা আরও বলেন, “এক মাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম গেল। সেই চাল তো বাজারে থাকার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুদ করার কারণে সরকারকে আমদানি করতে হচ্ছে।” তারা সরকারের কাছে এই আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।