আগস্ট ৬, ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে কিছুটা চাপ ছিল। ডলারের সংকট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে, গ্রস রিজার্ভের বৃদ্ধি এবং প্রবাসী আয় প্রবাহের ইতিবাচক ধারা দেশের অর্থনীতির জন্য এক স্বস্তির খবর। এটি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির কার্যকারিতা এবং দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।
দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর, বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০,০৭৭.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে, রেমিট্যান্স প্রবাহেও এসেছে ইতিবাচক গতি, যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট, ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০,০৭৭.৬৫ মিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৫,০৫৭.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০,০০.৮১ মিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪,৯৭৭.৭২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বৃদ্ধি। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার এক কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আরও জানান, গত বছরের (২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম ৫ দিন) একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার প্রবাসী আয় বেশি এসেছে প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও প্রায় ২.৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এই ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক লক্ষণ।