সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে বাম, ডান, মধ্যপন্থী এবং স্বতন্ত্রদের সমন্বয়ে মোট ৮টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী নিজ নিজ হলে স্থাপিত ২১টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গত ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়েছেন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রধান প্যানেলগুলো হলো:
-
শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম (বাগছাস): এই প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল এবং জিএস পদে আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।
-
সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির): এই প্যানেলটিই সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। ভিপি পদে আরিফুল্লাহ আদিব এবং জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখযোগ্য, এই প্যানেলে ছয়জন নারী প্রার্থী এবং জুলাই আন্দোলনের কয়েকজন আহত শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
-
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল: এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান। জিএস পদে এই নির্বাচনের একমাত্র নারী প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী রয়েছেন।
-
বামপন্থীদের প্যানেল: বামপন্থীরা তিনটি ভিন্ন প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেলটি ভিপি প্রার্থী ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যেখানে জিএস পদে রয়েছেন শরন এহসান। এটিতে সর্বোচ্চ ১১ জন নারী প্রার্থী, আদিবাসী, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রার্থীরাও রয়েছেন। এছাড়া 'সংশপ্তক পর্ষদ' এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আরেকটি আংশিক প্যানেলও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
-
স্বতন্ত্র প্যানেল: এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও দুটি প্যানেল গঠন করেছেন। 'স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন' প্যানেলের ভিপি পদে রয়েছেন আব্দুর রশিদ জিতু এবং জিএস পদে মো. শাকিল আলী। আরেকটি আংশিক প্যানেলের নাম 'স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ', যেখানে ভিপি পদে লড়ছেন মো. মাহফুজুল ইসলাম মেঘ।
এই নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এটি কেবল একটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।