সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপি বা জাল ভোটের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, যদি কেউ এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তিনি তার চাকরি ছেড়ে দেবেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা প্রতিটি হলে কয়েক স্তরে ভোটারদের তথ্য যাচাই করে ভোট নিয়েছি। সেখানে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, কেউ তার কাছে ভোট কারচুপি বা জালিয়াতির কোনো অভিযোগ করেননি।
তিনি বলেন, “কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছেন।” পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনের সদস্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে তার কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন করলেন? এতেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক যুক্ত রয়েছেন এবং সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি বা জাল ভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব এবং কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।”