জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে। নেটিজেনদের একটি অংশ দাবি করছেন যে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা কম দেখানো হচ্ছে, যদিও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম এই অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন। এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটি সরাসরি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে বিমান এবং স্কুল ভবনে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। যেখানে এটি বিধ্বস্ত হয়, সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুর্ঘটনার পর থেকে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও অভিযোগ উঠে আসে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
এই বিতর্কের মধ্যেই প্রিন্স মাহমুদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, “যেসব গার্ডিয়ান সন্তানের লাশ পায়নি, তাদের লিস্ট দেন। লাশ গুম হইছে বুঝলাম, অভিভাবকরাও কি গুম হয়ে গেছেন?” তার এই প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। প্রিন্স মাহমুদ তার পোস্টে কর্তৃপক্ষের কাছে লাশ না পাওয়া অভিভাবকদের একটি তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আরেকটি স্ট্যাটাসে প্রিন্স মাহমুদ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ইঙ্গিত করে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি তাতে বলেন, “আজ রাজনৈতিক দোকান বন্ধ রাখেন, চ্যালাচামুন্ডা নিয়ে হাসপাতালে যায়েন না। এইবার অন্তত মাফ করেন। কাজের মানুষদের কাজ করতে দেন। পারলে চেহারা না দেখায় পেছনে বসে সাহায্য করেন।” তার এই স্ট্যাটাসটিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ ছিল যেন তারা এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত প্রচারণার চেয়ে মানবিক সহায়তাকে অগ্রাধিকার দেন। তার এই মন্তব্যগুলো দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রতি একজন সচেতন নাগরিক এবং শিল্পী হিসেবে তার গভীর সংবেদনশীলতাকেই তুলে ধরে। বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি, আর প্রিন্স মাহমুদের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের প্রশ্নগুলি সেই উত্তর খোঁজার তাগিদকে আরও জোরালো করছে।
আপনার মতামত লিখুন: